ড. এম মোশাররফ হোসেন: বীমা শিল্প প্রচার ও প্রসারে অনেক পিছিয়ে আছে যার ফলে পেনিট্রেশন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে না। এ জন্য বিগত বছরগুলোতে আমরা যে সব পদক্ষেপ নিয়েছি, সেগুলো হলো –
ক) জাতীয় বীমা দিবস উদযাপন: স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে পূর্ব পাকিস্তানের আঞ্চলিক প্রধান (কনট্রোলার অব এজেন্সি) হিসেবে যোগদান করেছিলেন। দিনটি স্মরণে ১ মার্চ তারিখে জাতীয় বীমা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয় যা বীমা শিল্পের জন্য মাইলফলক। ২০২০ সালের ১ মার্চ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রথম জাতীয় বীমা দিবসের উদ্বোধন করেন। এ কারণে ২০২০ সালে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণার পর থেকে দেশব্যাপী অর্থাৎ বিভাগীয় শহরসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এই দুই বছর আড়ম্বরপূর্ণভাবে জাতীয় বীমা দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দু’বারের জাতীয় বীমা দিবসেন উদ্বোধন করেন। তিনি বীমা পরিবারের সাথে থেকে বীমা শিল্পের বিকাশে যে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখছেন তাতে বীমা শিল্পের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে।
খ) ডকুমেন্টারি ও টিভিসি প্রচার: বীমা শিল্পের প্রসারে ডকুমেন্টারি ও টিভিসি (টেলিভিশন কমার্শিয়াল) প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বীমা শিল্পে অবদান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বীমা শিল্পের উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের আদ্যোপান্ত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সকল বীমাকারীকে এই ডকুমেন্টারি প্রচারের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গ) প্রতি বছর বীমা মেলার আয়োজন: মানুষকে সম্পৃক্ত করার অন্যতম মাধ্যম হল মেলা। এ লক্ষ্যে প্রতি বছর বিভাগীয় পর্যায়ে বীমা মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। সর্বপ্রথম ২০১৬ সালে ঢাকায়, ২০১৭ সালে সিলেটে, ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে এবং ২০১৯ সালে খুলনাতে বীমা মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। মাঝখানে করোনার বিধি নিষেধের কারণে দুই বছর এই মেলা করা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী বছর আমরা আবারও এই মেলা আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশাল বিভাগে এই মেলা আয়োজন করা হবে। বীমা মেলার মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে বীমার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরার পাশাপাশি বীমা দাবি নিষ্পত্তি করা হয় যার ফলে বীমার প্রতি মানুষের যে অনাস্থা তা কমে আসছে।
ঘ) দেশব্যাপী বিলবোর্ড স্থাপন: বীমার প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি ও আগ্রহ তৈরির জন্য দেশব্যাপী বিলবোর্ড স্থাপনের জন্য বীমা কোম্পানিগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে কিছু কোম্পানি দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে কিছু বিলবোর্ডও স্থাপন করেছে এবং এ কার্যক্রমটি অব্যাহত রয়েছে।