ইনক্লুসিভ রিস্ক মিটাগেশন প্রজেক্ট (আরআরএমপি) এর "দুর্যোগ ঝুঁকি, ঝুঁকি প্রশমন এবং সাইক্লোন গার্ড আর্থিক সেবা" শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ আয়োজতি হয় যেখানে বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট ফর প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড এর মহাপরিচালক জনাব কাজী মোঃ মোরতুজা আলী প্রশিক্ষক হিসাবে অনুষ্ঠানে "মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স চর্চা ও প্রতিবন্ধতা" শীর্ষক বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশের নিম্ম আয়ের পরিবারগুলো অসচেতন। তারা বীমার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না এবং তারা বীমাকারীদের বিশ্বাস করে না। ক্ষুদ্র বীমার সাফল্যের জন্য একটি বীমা সংস্কৃতি গড়ে তোলা প্রয়োজন। ছোট পলিসির জন্য লেনদেনের খরচ বেশী; বীমা অংক কম। মাইক্রো ক্রেডিট আইন (২০০৬) এর অধীনে মাইক্রো ফিন্যান্স ইনষ্টিটিউট (এমএফআই) গুলো তাদের সদস্যদের জন্য বীমা পরিষেবা প্রদান করতে পারবে। কিন্তু বীমা আইন ২০১০ এ ক্ষুদ্র বীমাকে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি এবং ক্ষুদ্র বীমা প্রদানকারীদের জন্য কোন নির্দিষ্ট বিধি/প্রবিধান করা হয় নি।
ক্ষুদ্র বীমার সম্ভাব্য গ্রাহকদের শিক্ষিত করা এবং বীমার প্রতি তাদের যে নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে তা দূর করাই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বীমা সর্ম্পকে দরিদ্র মানুষের সীমিত সামগ্রিক বোঝাপাড়া সবচেয়ে বড় একটি চ্যালেঞ্জ বলে তিনি মনে করেন। সরকার যদি চরম দরিদ্রদের কাছে ক্ষুদ্রবীমা প্রসারিত করতে চায় তাহলে হয় প্রিমিয়াম ভর্তুকি দিতে হবে বা তাদের অর্থনৈতিক অবস্থাকে উন্নত করতে হবে সোস্যাল সিকিউরিটি নেটওর্য়াক প্রোগ্রাম (এসএসএনপি) এর মাধ্যমে।
গরীব, নিঃস্ব ও বিধবাদের জন্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বার্ধক্য/সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা অতি সামান্য প্রদান করা হয় । এটি আরো উন্নত করা যেতে পারে এবং বীমা ব্যবস্থার আওতায় আনা যেতে পারে। উপযুক্ত কাঠামোর শর্ত যেমন একটি সঠিক মাইক্রোইন্স্যুরেন্স নীতিমালা প্রয়োজন। ইসলামিক বীমা পদ্ধতি অধিকতর স্বচ্ছ ও জনবান্ধব করা যেতে পারে। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) মাইক্রোইন্স্যুরেন্সে আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে কেননা ইতিমধ্যে সরকারের এসএসএনপি এর অংশ হিসেবে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের জন্য একটি শীর্ষ তহবিল সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফিলিপাইন ও জাপানে প্রচলিত মিচ্যুয়াল বেনেফিট এসোসিয়েশন এর অনুরূপ সংগঠনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র বীমা ব্যবস্থার ব্যাপক প্রচলন সম্ভব হতে পারে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।